অভিমান

ব্রেক-আপ এর এক বছর পর একদিন হঠাৎ
ছেলেটি মেয়েটিকে ফোন দিল......
মেয়ে: হ্যালো....
ওপাশ থেকে শুধু একরাশ নিঃশ্বাস এর আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছে না।
মেয়ে: হঠাৎ.....এতদিন পর কি মনে করে..... হ্যালো কথা বলছেন না কেন?.....
(ছেলেটি কোন কথাই বলছে না)
মেয়ে: দেখেন,,, আপনার মতো ফালতু মানুষের জন্য আমার হাতে কোন আজাইরা টাইম নাই।....কিছু বলার থাকলে বলেন না হলে রেখে দিচ্ছি.....
ছেলে: একটুও চেঞ্জ হও নাই। ঠিক আগের মতই রাগী, বদমেজাজি স্বভাবী আছো......
মেয়ে: চেঞ্জ হওয়ার জন্য লাইফে কেউ এখনো আসে নাই। আর এমনিতেও চেঞ্জ হওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না।,,,আর কিছু.....??
( ছেলেটি চুপ করে রইল)
মেয়েটি ফোন রাখতে গিয়েও রাখতে পারছে না,,,অপেক্ষা করছে.... ছেলেটি আর কিছু বলে কিনা....
মেয়ে: আমি কিন্তু রেখে দিচ্ছি..... একটি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ছেলেটি ফোন কেটে দিল।
আবার তিন বছর পর কোন এক বিকেলে..
ছেলেটি আবার ফোন করে মেয়েটিকে....
মেয়ে: হ্যালো...
ছেলে: হ্যালো... কেমন আছো?
মেয়েটি চোখের জল মুছে বলল: কে আপনি? কাকে চাই?
ছেলে: বাহ অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছো তো,,,আগে নিঃশ্বাসের শব্দে আমায় চিনে ফেলতে, আজ কথা শুনেও চিনতে পারছো না......
মেয়ে: হুম... সব সময় তো আর এক রকম
থাকা যায় না,,,তাই না....?
ছেলে: শুনেছি.... তোমার কিছুদিন পর
বিয়ে। ভালো থেকো...
মেয়ে: তা আপনি না বললেও আমি ভালো থাকবো।কান্না আর ধরে না রাখতে পেরে
মেয়েটি ফোন কেটে দেয়।
এদের দু'জনের মধ্যে কেউ কখনো জানতে পারবে না যে,,, তার মতো অপর পাশের মানুষটাও কষ্ট পাচ্ছে কিন্তু প্রকাশ করছে না.....
অভিমান জিনিসটাই অদ্ভুত। নিরবে একটা
মানুষকে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলবে কিন্তু এতটুকু চিহ্ন পর্যন্ত রাখবে না। মেয়েটি ফোন থেকে সিমকার্ডটি খুলে সেই পরিচিত নীল বক্সে রেখে দেয়। ছেলেটির দেয়া প্রত্যেকটি স্মৃতির অংশ
এখানে জমা করে রেখেছে খুব যত্নে। এগুলো মেয়েটির প্রত্যেকটি নির্ঘুম রাতের সঙ্গী। যাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে নিজেকে নতুন করে পোড়ায়।
কেউ জানবে না এই পুড়ে যাওয়ার কথা.....
কেউ নাহ......
অভিমান জিনিসটার কাছে হয়তো এভাবেই ভালোবাসা গুলো ব্যর্থতার স্বীকার হয়ে কোন এক রহস্যের দুনিয়ায় আড়াল হয়েই থেকে যায়,,,💘💘

Comments

Popular posts from this blog

দ্বিধা !

সমাজ !

দৌড়া বাজান দৌড়া টাকার পিছে lyrics