পটলকুমার গানওয়ালা
এক দুঃখী মেয়ের কাহিনী।স্টার জলসাতে দেখায় এই সিরিয়াল। সকালে ঘুম থেকে উঠার পরেই শুরু হয় তার দুঃখ পাওয়া।
এরপর দাঁত ব্রাশ করতে গেলে দুঃখ , নাস্তা করতে দুঃখ , কারও সাথে কথা বলতে গেলে দুঃখ , চেয়ারে বসতে দুঃখ , দুপুরে খাইতে দুঃখ , বিকালের নাস্তায় দুঃখ , সন্ধ্যায় দুঃখ , রাতের খাবারে দুঃখ , বিছানায়
শুইতে গেলে দুঃখ , রাতে ঘুমের মধ্যেও দুঃখ পায় ।
তার দুঃখে বনের পাখি কাঁদে , শিয়াল কাঁদে ... আশেপাশের মহল্লার পোলাপান কাঁদে , আমার পাশের বিল্ডিং এর আজিজ ভাইও কাঁদে । আমার কান্না আসেনা , আমি আজিজ ভাইয়ের কান্না দেখে কাঁদি।
পটলকুমার এর বয়স ৭-৮ , তার একটা সৎ বোন আছে একই বয়সের । সৎ বোন পটলকুমারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সারাদিন।ঘুম থেকে উঠে ষড়যন্ত্র,দাঁত ব্রাশ করতে ষড়যন্ত্র, নাস্তা করতে ষড়যন্ত্র, দুপুরে ঘুমাইতে গেলে ষড়যন্ত্র।
পটলকুমার এর আসল মা মারা গেছে । তার বাবা বিখ্যাত গায়ক। এই লোক আবার আধ্যাত্মিক স্তরের মদখোর। সে মদ খাইতে খাইতে ঘুমায়, আবার সকালে সূর্য উঠার সাথে সাথে মদ দিয়ে কুলি করে, নাস্তা করে মদ দিয়ে , ভাত খায় মদ দিয়ে , দুপুরে ঘুমায় মদ খেয়ে , আবার মাঝে মধ্যে মদ দিয়ে মদ খায়।
এই সিরিয়াল এর সবার কাজ হচ্ছে , সবাই সব কাজ বাদ দিয়ে সারাদিন ৭ বছরের একটা মেয়ে পটলকুমার কে নিয়ে ব্যস্ত থাকে।দুনিয়ার কোনও মানুষের কোনও কাজ নাই , তাদের একটাই কাজ পটলকুমার কি করে ।
পটলকুমার এর সৎ মা পটলকে পছন্দ করেনা। সে চায় পটলকে মেরে ফেলতে। কিন্তু মেরে ফেলতে চাইলেই কি মেরে ফেলা যায়। পটল মরলে যে সিরিয়াল শেষ হয়ে যাবে , এইটা তো বোকা মহিলা জানেনা।
একের পর এক ষড়যন্ত্রে পটল যখন জর্জরিত , তখন তাকে বাঁচানোর জন্য আসে , পটলের বাবার এক বান্ধবী। ওই বান্ধবী সারাদিন হাত কাটা ব্লাউজ আর সাদা শাড়ি পরে সারাবাড়ি ঘুরে বেড়ায় , সে এক দেখার মত দৃশ্য। ওই মহিলা আবার ৫০ এপিসোড ধরে একই কাপড় পড়ে রাখছে , ব্যাপারটা রহস্যজনক, সে কাপড় ধুয়েও দেয় না , নতুন কাপড় ও পড়েনা ...এর পিছনে ইলুমিনাটির হাত আছে বলে মনে হচ্ছে।
একদিন পটলের সব দুঃখ শেষ হয় , তার বাবা বিয়ে করে ... পটলের সৎ মা জেলে যায় । পটলের বাবা নতুন বউ নিয়ে হানিমুনে যায়। এমন দৃশ্য দেখে পাশের বিল্ডিং এর আজিজ ভাইও তার বউয়ের সাথে সাব-স্যান্ডউইচ খাইতে বের হয়।
আপনি কি ভাবছেন , সিরিয়াল শেষ? ... না , পরিচালক হইছে মিচকা শয়তান , সে পটলের সুখ সহ্য করতে পারেনা , সে এখন ছোট পটলরে বদলায়ে বড় পটল নিয়া আসছে ... যেহেতু পটল বড় হইছে ,তার দুঃখও ডাবল হইছে ...অবশ্য তার বাবা মদ খাওয়া ডাবল করেছে কিনা এই ব্যাপারে এখনো জানা যায়নি।
ইতিমধ্যে পটলের বাবার হাতকাটা ব্লাউজ পড়া বান্ধবী আবার চলে আসছে ... খেলা জমে উঠেছে , দুঃখের পরিমান ডাবল হইছে ,ষড়যন্ত্র ডাবল হইছে , ইতিমধ্যে ইলুমিনাটি দৃঢ়ভাবে তৎপর , যে করেই হোক আগামী ১০০ এপিসোড পটলের বাপের বান্ধবীরে একই ড্রেস পড়াইতে হবে।পাশের বিল্ডিং এর আজিজ ভাইয়ের কান্দার পরিমান ও বেড়ে গেছে।
...অসাধারন চিত্রনাট্য, আহা! গল্পের কি গাঁথুনি...আমার পার্সোনাল রেটিং ১০ এ ১০। সবাই পরিবার নিয়ে পটলকুমার দেখতে বসে কান্নাকাটি শুরু করুন।কেউ দেখতে না চাইলে জোর করে জাইত্তা ধইরা বসায় রাখেন।
এরপর দাঁত ব্রাশ করতে গেলে দুঃখ , নাস্তা করতে দুঃখ , কারও সাথে কথা বলতে গেলে দুঃখ , চেয়ারে বসতে দুঃখ , দুপুরে খাইতে দুঃখ , বিকালের নাস্তায় দুঃখ , সন্ধ্যায় দুঃখ , রাতের খাবারে দুঃখ , বিছানায়
শুইতে গেলে দুঃখ , রাতে ঘুমের মধ্যেও দুঃখ পায় ।
তার দুঃখে বনের পাখি কাঁদে , শিয়াল কাঁদে ... আশেপাশের মহল্লার পোলাপান কাঁদে , আমার পাশের বিল্ডিং এর আজিজ ভাইও কাঁদে । আমার কান্না আসেনা , আমি আজিজ ভাইয়ের কান্না দেখে কাঁদি।
পটলকুমার এর বয়স ৭-৮ , তার একটা সৎ বোন আছে একই বয়সের । সৎ বোন পটলকুমারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সারাদিন।ঘুম থেকে উঠে ষড়যন্ত্র,দাঁত ব্রাশ করতে ষড়যন্ত্র, নাস্তা করতে ষড়যন্ত্র, দুপুরে ঘুমাইতে গেলে ষড়যন্ত্র।
পটলকুমার এর আসল মা মারা গেছে । তার বাবা বিখ্যাত গায়ক। এই লোক আবার আধ্যাত্মিক স্তরের মদখোর। সে মদ খাইতে খাইতে ঘুমায়, আবার সকালে সূর্য উঠার সাথে সাথে মদ দিয়ে কুলি করে, নাস্তা করে মদ দিয়ে , ভাত খায় মদ দিয়ে , দুপুরে ঘুমায় মদ খেয়ে , আবার মাঝে মধ্যে মদ দিয়ে মদ খায়।
এই সিরিয়াল এর সবার কাজ হচ্ছে , সবাই সব কাজ বাদ দিয়ে সারাদিন ৭ বছরের একটা মেয়ে পটলকুমার কে নিয়ে ব্যস্ত থাকে।দুনিয়ার কোনও মানুষের কোনও কাজ নাই , তাদের একটাই কাজ পটলকুমার কি করে ।
পটলকুমার এর সৎ মা পটলকে পছন্দ করেনা। সে চায় পটলকে মেরে ফেলতে। কিন্তু মেরে ফেলতে চাইলেই কি মেরে ফেলা যায়। পটল মরলে যে সিরিয়াল শেষ হয়ে যাবে , এইটা তো বোকা মহিলা জানেনা।
একের পর এক ষড়যন্ত্রে পটল যখন জর্জরিত , তখন তাকে বাঁচানোর জন্য আসে , পটলের বাবার এক বান্ধবী। ওই বান্ধবী সারাদিন হাত কাটা ব্লাউজ আর সাদা শাড়ি পরে সারাবাড়ি ঘুরে বেড়ায় , সে এক দেখার মত দৃশ্য। ওই মহিলা আবার ৫০ এপিসোড ধরে একই কাপড় পড়ে রাখছে , ব্যাপারটা রহস্যজনক, সে কাপড় ধুয়েও দেয় না , নতুন কাপড় ও পড়েনা ...এর পিছনে ইলুমিনাটির হাত আছে বলে মনে হচ্ছে।
একদিন পটলের সব দুঃখ শেষ হয় , তার বাবা বিয়ে করে ... পটলের সৎ মা জেলে যায় । পটলের বাবা নতুন বউ নিয়ে হানিমুনে যায়। এমন দৃশ্য দেখে পাশের বিল্ডিং এর আজিজ ভাইও তার বউয়ের সাথে সাব-স্যান্ডউইচ খাইতে বের হয়।
আপনি কি ভাবছেন , সিরিয়াল শেষ? ... না , পরিচালক হইছে মিচকা শয়তান , সে পটলের সুখ সহ্য করতে পারেনা , সে এখন ছোট পটলরে বদলায়ে বড় পটল নিয়া আসছে ... যেহেতু পটল বড় হইছে ,তার দুঃখও ডাবল হইছে ...অবশ্য তার বাবা মদ খাওয়া ডাবল করেছে কিনা এই ব্যাপারে এখনো জানা যায়নি।
ইতিমধ্যে পটলের বাবার হাতকাটা ব্লাউজ পড়া বান্ধবী আবার চলে আসছে ... খেলা জমে উঠেছে , দুঃখের পরিমান ডাবল হইছে ,ষড়যন্ত্র ডাবল হইছে , ইতিমধ্যে ইলুমিনাটি দৃঢ়ভাবে তৎপর , যে করেই হোক আগামী ১০০ এপিসোড পটলের বাপের বান্ধবীরে একই ড্রেস পড়াইতে হবে।পাশের বিল্ডিং এর আজিজ ভাইয়ের কান্দার পরিমান ও বেড়ে গেছে।
...অসাধারন চিত্রনাট্য, আহা! গল্পের কি গাঁথুনি...আমার পার্সোনাল রেটিং ১০ এ ১০। সবাই পরিবার নিয়ে পটলকুমার দেখতে বসে কান্নাকাটি শুরু করুন।কেউ দেখতে না চাইলে জোর করে জাইত্তা ধইরা বসায় রাখেন।
Comments
Post a Comment