প্রিতম প্রেয়সী
১
মাদারিপুরের পুরান বাজারের ছোট্ট একটি ঘরে আজাদ ও তার মায়ের বসবাস । ৬ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তার বাবা মারা যায় । আজদের মা একটি দর্জির দোকানে কাজ করে । তাদের অবস্থা দিন এনে দিন খাওয়ার মতো । আজাদও অবসরে তার মাকে সাহায্য করে । আজাদকে নিয়ে তার মায়ের অনেক স্বপ্ন । আজ আজাদের কলেজের প্রথম দিন । আজাদ কলেজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে । বাড়ির উঠানে দাড়িয়ে কাব্য আজাদকে ডাকছে, ওই সালা তাড়াতাড়ি বের হ, আজকে কলেজের ১ম দিন কই একটু তাড়াতাড়ি কলেজে যামু, ওই তাড়াতাড়ি আয় । কাব্য আজাদের অনেক ভাল বন্ধু । বন্ধু না বলে ভাই বলা যায় । কিন্তু দুইজনের চরিত্রের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য । কাব্যকে দেখলে মনে হয় ভাজা মাছ উল্টিয়ে খেতে পারবে না । এদিকে সে মাছ তো খাবেই সাথে তরকারিও নিমিষেই শেষ করে দিবে । আজাদ পুরো কাব্যের উল্টা । কিভাবে যে এই দুই জনের মধ্যে বন্ধুত্ব হলো তা একমাত্র আল্লাহই জানে । আজাদ তার মাকে সালাম করে বেরিয়ে পরে । কাব্য আর আজাদ হেটেই কলেজে পৌছে যায় । কলেজের গেটের সামনে আসতেই আজাদের বুকের ভেতর কেমন যেন অনুভুত হয় । সে একটু ভয়ে ভয়ে বিসমিল্লাহ্ বলে কলেজে ঢুকলো । এদিকে কাব্যরে ভাবধারায় কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল না
মাদারিপুরের পুরান বাজারের ছোট্ট একটি ঘরে আজাদ ও তার মায়ের বসবাস । ৬ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তার বাবা মারা যায় । আজদের মা একটি দর্জির দোকানে কাজ করে । তাদের অবস্থা দিন এনে দিন খাওয়ার মতো । আজাদও অবসরে তার মাকে সাহায্য করে । আজাদকে নিয়ে তার মায়ের অনেক স্বপ্ন । আজ আজাদের কলেজের প্রথম দিন । আজাদ কলেজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে । বাড়ির উঠানে দাড়িয়ে কাব্য আজাদকে ডাকছে, ওই সালা তাড়াতাড়ি বের হ, আজকে কলেজের ১ম দিন কই একটু তাড়াতাড়ি কলেজে যামু, ওই তাড়াতাড়ি আয় । কাব্য আজাদের অনেক ভাল বন্ধু । বন্ধু না বলে ভাই বলা যায় । কিন্তু দুইজনের চরিত্রের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য । কাব্যকে দেখলে মনে হয় ভাজা মাছ উল্টিয়ে খেতে পারবে না । এদিকে সে মাছ তো খাবেই সাথে তরকারিও নিমিষেই শেষ করে দিবে । আজাদ পুরো কাব্যের উল্টা । কিভাবে যে এই দুই জনের মধ্যে বন্ধুত্ব হলো তা একমাত্র আল্লাহই জানে । আজাদ তার মাকে সালাম করে বেরিয়ে পরে । কাব্য আর আজাদ হেটেই কলেজে পৌছে যায় । কলেজের গেটের সামনে আসতেই আজাদের বুকের ভেতর কেমন যেন অনুভুত হয় । সে একটু ভয়ে ভয়ে বিসমিল্লাহ্ বলে কলেজে ঢুকলো । এদিকে কাব্যরে ভাবধারায় কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল না
২
কাব্যের ছেলে বন্ধুর চেয়ে মেয়ে বন্ধুই বেশি । এদিকে আজাদের মেয়ে বন্ধু হবে তো দূরের কথা যদি কোন মেয়ের চোখের উপর তার চোখ পরে তাহলে সে লজ্জায় খুন হয়ে যায় । কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা তাদের ক্লাস রুমে পৌছে যায় । ক্লাসে সবাই সবার সাথে পরিচিত হচ্ছে । আজাদও সবার সাথে পরিচিত হচ্ছে,কিন্তু মেয়েদের ধারে কাছেও যায় নি । এদিকে কাব্য রীতিমত স্রেলেব্রিটি হয়ে গেছে । রবিন স্যার আজাদের ক্লাসের ক্লাস টিচার । সে সবার কাছে সবার নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করছে । আজাদ,কাব্য এবং সোহাগ ১ম বেঞ্চে বসেছে । ১মে স্যার সোহাগকে দাড় করিয়ে তার সম্পর্কে বলতে বলে । সোহাগ ভয়জরানো কন্ঠে উত্তর দেয় । এর পর আজাদে পালা । আজাদ দাড়ানোর সাথে সাথে একটি মেয়ে এসে হাজির হয় ক্লাসের দরজায় । মেয়েটিকে দেখে আজাদ যেন বোবা হয়ে গেছে । সে কোন কথা বলতে পারল না ।আজাদের এই অবস্থা দেখে মেয়েটি হাসিতে লুটিয়ে পরল । তার হাসি দেখে আজাদের মনে হচ্ছ সে তার মায়ের কোলে ঘুমাচ্ছে । সব কিছু অনেক তাড়াতাড়ি ঘটে যাচ্ছে । আজাদ মেয়েটির দিকে তাকিয়েই আছে, আজাদের এই অবস্থা দেখে সবার সাথে সাথে রবিন স্যারও একটু হাসল । স্যার মেয়েটিকে ভেতরে আসার অনুমতি দিল । আজাদ যেন চোখের পলক ফেলতে ভুলে গেছে ।
কাব্যের ছেলে বন্ধুর চেয়ে মেয়ে বন্ধুই বেশি । এদিকে আজাদের মেয়ে বন্ধু হবে তো দূরের কথা যদি কোন মেয়ের চোখের উপর তার চোখ পরে তাহলে সে লজ্জায় খুন হয়ে যায় । কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা তাদের ক্লাস রুমে পৌছে যায় । ক্লাসে সবাই সবার সাথে পরিচিত হচ্ছে । আজাদও সবার সাথে পরিচিত হচ্ছে,কিন্তু মেয়েদের ধারে কাছেও যায় নি । এদিকে কাব্য রীতিমত স্রেলেব্রিটি হয়ে গেছে । রবিন স্যার আজাদের ক্লাসের ক্লাস টিচার । সে সবার কাছে সবার নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করছে । আজাদ,কাব্য এবং সোহাগ ১ম বেঞ্চে বসেছে । ১মে স্যার সোহাগকে দাড় করিয়ে তার সম্পর্কে বলতে বলে । সোহাগ ভয়জরানো কন্ঠে উত্তর দেয় । এর পর আজাদে পালা । আজাদ দাড়ানোর সাথে সাথে একটি মেয়ে এসে হাজির হয় ক্লাসের দরজায় । মেয়েটিকে দেখে আজাদ যেন বোবা হয়ে গেছে । সে কোন কথা বলতে পারল না ।আজাদের এই অবস্থা দেখে মেয়েটি হাসিতে লুটিয়ে পরল । তার হাসি দেখে আজাদের মনে হচ্ছ সে তার মায়ের কোলে ঘুমাচ্ছে । সব কিছু অনেক তাড়াতাড়ি ঘটে যাচ্ছে । আজাদ মেয়েটির দিকে তাকিয়েই আছে, আজাদের এই অবস্থা দেখে সবার সাথে সাথে রবিন স্যারও একটু হাসল । স্যার মেয়েটিকে ভেতরে আসার অনুমতি দিল । আজাদ যেন চোখের পলক ফেলতে ভুলে গেছে ।
৩
কাব্যের ধাক্কায় আজাদ পৃথিবীতে ফিরে এল । আজাদ দেখছে ক্লাসের সবাই ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে । স্যার আজাদকে বসতে বলল । এর পর কাব্যের পালা, কাব্য নেতাদের মত হাত নাড়িয়ে কথা বলছে । আজাদের মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে । সে পিছনে তাকাতেই দেখতে পায় ঐ মেয়েটিকে । সে এখনো হাসছে । তার হাসির ধরন দেখে মনে হচ্ছে এই হাসি আজ আর থামবে না । মেয়ের চোখের উপর চোখ পরতেই আজাদ থ হয়ে গেল । এত সুন্দর চোখ দেখে আজাদের মনে পড়ে গেল তাদের গরু লালির কথা । লালিরও ঠিক এইরকম একজোড়া চোখ ছিল । এই চোখের দিকে তাকালে নাওয়া খাওয়া ভুলে যাওয়া যায় । এদিকে কাব্যের ভাষণ শেষ হয়েছে । আজাদের হাবভাব দেখে কাব্য বুঝতে পেরে যায় তার প্রিয় বন্ধুর মনের কথা । কাব্য মনে মনে একটু হাসল । আর মনের অজান্তেই বলে উঠল অবশেষে হালার একটা মাইয়্যা পছন্দ হইছে । কাব্য আজাদের দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় আজাদের চোখ চকচক করছে । একটু পরেই মেয়েটির পালা আসল । কাব্য মনে মনে বলছে আল্লাহ মনে হয় এই ময়েকে আজাদের জন্যই পাঠিয়েছেন । এরি মধ্যে মেয়েটা তার নাম বলল"আরিহা বিনতে মাবিয়া" । নাম শুনে আজাদের মনে হচ্ছে এর চেয়ে সুন্দর নাম আর নেই । ঠিক তখনই ঘন্টা বেজে উঠল ।
কাব্যের ধাক্কায় আজাদ পৃথিবীতে ফিরে এল । আজাদ দেখছে ক্লাসের সবাই ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে । স্যার আজাদকে বসতে বলল । এর পর কাব্যের পালা, কাব্য নেতাদের মত হাত নাড়িয়ে কথা বলছে । আজাদের মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে । সে পিছনে তাকাতেই দেখতে পায় ঐ মেয়েটিকে । সে এখনো হাসছে । তার হাসির ধরন দেখে মনে হচ্ছে এই হাসি আজ আর থামবে না । মেয়ের চোখের উপর চোখ পরতেই আজাদ থ হয়ে গেল । এত সুন্দর চোখ দেখে আজাদের মনে পড়ে গেল তাদের গরু লালির কথা । লালিরও ঠিক এইরকম একজোড়া চোখ ছিল । এই চোখের দিকে তাকালে নাওয়া খাওয়া ভুলে যাওয়া যায় । এদিকে কাব্যের ভাষণ শেষ হয়েছে । আজাদের হাবভাব দেখে কাব্য বুঝতে পেরে যায় তার প্রিয় বন্ধুর মনের কথা । কাব্য মনে মনে একটু হাসল । আর মনের অজান্তেই বলে উঠল অবশেষে হালার একটা মাইয়্যা পছন্দ হইছে । কাব্য আজাদের দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় আজাদের চোখ চকচক করছে । একটু পরেই মেয়েটির পালা আসল । কাব্য মনে মনে বলছে আল্লাহ মনে হয় এই ময়েকে আজাদের জন্যই পাঠিয়েছেন । এরি মধ্যে মেয়েটা তার নাম বলল"আরিহা বিনতে মাবিয়া" । নাম শুনে আজাদের মনে হচ্ছে এর চেয়ে সুন্দর নাম আর নেই । ঠিক তখনই ঘন্টা বেজে উঠল ।
৪
ঘন্টা বাজার পরপরই স্যার ক্লাস থেকে চলে গেলেন । যাওয়ার আগে আজাদের দিকে চেয়ে একটু মুচকি হাসলেন । স্যার চলে যেতেই কাব্য আরিহার সামনে এসে হাজির । কাব্য আরিহার কাছে তার পরিচয় দিল । সে বলে উঠল ঐ যে একটা হাবলু দেখতে পাচ্ছ ও হলো আমার বন্ধু,সে তো তোমাকে দেখে পুরাই টাস্কি খায়ছে । অবশ্য ওর এই হাবভাব দেইখ্যা আমিও একটু অবাক হইছি। যেই হালায় মাইয়্যা মানুষ দেখলে উল্টা রাস্তা দিয়া হাটে ও ই কি না তোমারে দেইখ্যা বাতাসে ভাসতাছে । কথাগুলো এক নিঃশ্বাস বলল কাব্য । কাব্যের কথা শুনে আরিহা আবার হাসিতে লুটিয়ে পড়ল । আরিহার হাসিদেখে কাব্য একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে উঠল । কাব্য মনে মনে ভাবল তাহলে কি এই মেয়ে আজাদকে পছন্দ করে না । আরিহা বলল বন্ধুর হয়ে ওকালতি করতে এসেছো ? আগে তোমার বন্ধুকে কয় দিন দেখি,তার গুন সম্পর্কে জানি, তার পর দেখা যাবে কী হয় । কথাগুলো বলেই একটি রহস্যময় হাসি দিল আরিহা ।মন খারাপ করে কাব্য গিয়ে বসল তাদের বেঞ্চে । কাব্য লক্ষ্য করল, আজাদ এখনো আরিহার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । আজাদের চোখের পলক আজ মনে হয় পড়বে না ।এরি মধ্যে বারান্দায় দাড়িয়ে থাকা ছেলেমেয়ে গুলো ক্লাসে প্রবেশ করছ। অর্থাৎ নতুন টিচার ক্লাসে আসছেন ।
ঘন্টা বাজার পরপরই স্যার ক্লাস থেকে চলে গেলেন । যাওয়ার আগে আজাদের দিকে চেয়ে একটু মুচকি হাসলেন । স্যার চলে যেতেই কাব্য আরিহার সামনে এসে হাজির । কাব্য আরিহার কাছে তার পরিচয় দিল । সে বলে উঠল ঐ যে একটা হাবলু দেখতে পাচ্ছ ও হলো আমার বন্ধু,সে তো তোমাকে দেখে পুরাই টাস্কি খায়ছে । অবশ্য ওর এই হাবভাব দেইখ্যা আমিও একটু অবাক হইছি। যেই হালায় মাইয়্যা মানুষ দেখলে উল্টা রাস্তা দিয়া হাটে ও ই কি না তোমারে দেইখ্যা বাতাসে ভাসতাছে । কথাগুলো এক নিঃশ্বাস বলল কাব্য । কাব্যের কথা শুনে আরিহা আবার হাসিতে লুটিয়ে পড়ল । আরিহার হাসিদেখে কাব্য একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে উঠল । কাব্য মনে মনে ভাবল তাহলে কি এই মেয়ে আজাদকে পছন্দ করে না । আরিহা বলল বন্ধুর হয়ে ওকালতি করতে এসেছো ? আগে তোমার বন্ধুকে কয় দিন দেখি,তার গুন সম্পর্কে জানি, তার পর দেখা যাবে কী হয় । কথাগুলো বলেই একটি রহস্যময় হাসি দিল আরিহা ।মন খারাপ করে কাব্য গিয়ে বসল তাদের বেঞ্চে । কাব্য লক্ষ্য করল, আজাদ এখনো আরিহার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । আজাদের চোখের পলক আজ মনে হয় পড়বে না ।এরি মধ্যে বারান্দায় দাড়িয়ে থাকা ছেলেমেয়ে গুলো ক্লাসে প্রবেশ করছ। অর্থাৎ নতুন টিচার ক্লাসে আসছেন ।
৫
কাব্য দেখতে পেলো এক অসম্ভ সুন্দরী নারী, হাতে বাংলা বই । কাব্যের আর বুঝতে বাকি রইলনা এই রুপসি নারী তাদের বাংলা টিচার । ম্যাডাম ক্লাসে আসতেই পিছন সারির ছেলেরা কেউ শিষ দিল,কেউ হাতে তালি দিল, আবার কেউ অশোভন ভাষায় কিছু কথা বলল । কাব্য শুধু চেয়ে চেয়ে দেখল কে কী করে । কাব্য লক্ষ্য করল আজাদ এখনো আরিহার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । আরিহাও আজাদের দিকে তাকিয়ে আছে ।হঠাৎ কাব্য খেয়াল করল বাংলা ম্যাডাম আজাদের দিকে তাকিয়ে জ্বলছে । কাব্য মনে মনে বলল এইবার মনে হয় আমার বন্ধু পাশ কইরা গেছে । আল্লাহ তুমি ওগো দুইজনরে মিলাইয়া দিও । বাংলা ম্যাডাম বলে উঠলেন হ্যাই এভরিওয়ান, আমি রুবিনা তোমাদের বাংলা পড়াব । রুবিনা ম্যাডাম আড় চোখে আজাদ আর আরিহার দিকে বারবার চাইছে । ক্লাসের এমন হৈই চৈই শুরু হলো যেন এটা ক্লাস না মাছ বাজার । কিছুক্ষন পরেই ঘন্টা বেজে উঠল । রুবিনা ম্যাডাম চলে যাওয়ার পর আরিহা এসে আজাদের পাশে বসল । কাব্য বলে উঠল আরিহা ম্যাডাম আমার হাবলু বন্ধুটাকি আপনার পরীক্ষায় পাশ করেছে ?
কাব্য দেখতে পেলো এক অসম্ভ সুন্দরী নারী, হাতে বাংলা বই । কাব্যের আর বুঝতে বাকি রইলনা এই রুপসি নারী তাদের বাংলা টিচার । ম্যাডাম ক্লাসে আসতেই পিছন সারির ছেলেরা কেউ শিষ দিল,কেউ হাতে তালি দিল, আবার কেউ অশোভন ভাষায় কিছু কথা বলল । কাব্য শুধু চেয়ে চেয়ে দেখল কে কী করে । কাব্য লক্ষ্য করল আজাদ এখনো আরিহার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । আরিহাও আজাদের দিকে তাকিয়ে আছে ।হঠাৎ কাব্য খেয়াল করল বাংলা ম্যাডাম আজাদের দিকে তাকিয়ে জ্বলছে । কাব্য মনে মনে বলল এইবার মনে হয় আমার বন্ধু পাশ কইরা গেছে । আল্লাহ তুমি ওগো দুইজনরে মিলাইয়া দিও । বাংলা ম্যাডাম বলে উঠলেন হ্যাই এভরিওয়ান, আমি রুবিনা তোমাদের বাংলা পড়াব । রুবিনা ম্যাডাম আড় চোখে আজাদ আর আরিহার দিকে বারবার চাইছে । ক্লাসের এমন হৈই চৈই শুরু হলো যেন এটা ক্লাস না মাছ বাজার । কিছুক্ষন পরেই ঘন্টা বেজে উঠল । রুবিনা ম্যাডাম চলে যাওয়ার পর আরিহা এসে আজাদের পাশে বসল । কাব্য বলে উঠল আরিহা ম্যাডাম আমার হাবলু বন্ধুটাকি আপনার পরীক্ষায় পাশ করেছে ?
৬
এদিকে আজাদের অবস্থা ভেজা বিড়ালের মত । আজাদ যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না । আরিহা বলল তোমার বন্ধু দেখি আসলেই একটা হাবলু। কথা শুনে আজাদের গাল লজ্জায় লাল হয়ে উঠল । আরিহা বলল এত জলদির কী আছে মিঃ কাব্য সময় হলেই পরীক্ষার ফল বের হবে । কথাগুলো বলেই আরিহা চলে গেল । কাব্য বলল চল আজকে আর ক্লাস করব না । আজাদ যেতে চাইছিলনা তারপরেও দুইজনে মিলে কলেজ ফাকি দিল । দুইজনেই সরাসরি বাসায় চলে আসে । আজাদ বাসায় এসে দেখে মা দোকানে গেছে । ২০ মিনিট পর কাব্য চলে এলো আজাদের বাসায়, এসে দেখে আজাদ কি যেন ভাবছে । কাব্য বুঝতে পারে আজাদ কি নিয়ে ভাবছে । হঠাৎ কাব্যের চোখ পড়ে একটি ছবির উপর ছবিটিতে সে দেখতে পায় একটা ছোট ছেলে একটি গরুর গলা ধরে দাড়িয়ে আছে । ছেলেটা যে আজাদ তা বুঝতে কাব্যের সময় লাগল না । কিন্তু গরুর চোখ দুটি দেখে কাব্যের মনে হল গরুর এতো সুন্দর চোখ হয় ! কাব্যের মনে পরে গেল এইচোখ জোড়া আর আরিহার চোখ একই রকম । কেমন একটা মায়া কাজ করে এই চোখে । আজাদ এখনো ভাবছে আরিহার কথা । কাব্যও কি যেন ভাবছে । হঠাৎ দরজায় টোকার শব্দে দুইজনেই বাস্তব জগতে ফিরে এলো । কাব্য গিয়ে দরজাটা খুলল ।
৭
দরজা খুলতেই কাব্যের চোখ কপালে উঠল । সে দেখতে পেলো আরিহা দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে পিছেনই দাড়িয়ে আছে সোহাগ । কাব্য বুঝতে পারল সোহাগই আরিহাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছে আজাদের বাসায় ।একটু পরেই আজাদ আসল দরজার কাছে । আজাদ আরিহাকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠে । আজাদের মনে হয় এই বুঝি সে জ্ঞান হারাবে । আজাদের এই অবস্থা দেখে আরিহা হেসে হেসে বলল পরীক্ষার ফল না নিয়েই চলে এলে যে । কাব্য বলল তা ফলাফল জানাতেই কি এসেছ ? নাকি ফলাফল অনলাইনে জানানো হবে । সোহাগ বলল আর অনলাইনে জাওয়ার দরকার নেই । ফলাফল আজাদের পক্ষেই । কাব্য লক্ষ্য করল আরিহার গাল আর কান লজ্জায় লাল হয়ে গেছে । আজাদের বাগানে বিভন্ন ধরনের ফুল দেখে সোহাগ বলে তা হলে শুভ কাজটা হয়ে যাক । আজাদের মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে । কাব্য বাগান থেকে একটি লাল গোলাপ ফুল এনে আজাদের হাতে দেয় । ফুল ধরার সাথে সাথে আজাদের হাত পা কাঁপতে থাকে । ফুল হাতে দুই হাঁটু গেরে বসে পরে আজাদ । আরিহা একটু একটু লজ্জা পাচ্ছে । কাব্য বলল আরিহা তাড়াতাড়ি ফুলটা নেও তা নাহলে আজাদ বেচারা একটু পর হার্টঅ্যাটাক করবে । আজাদ কাপা কাপা কন্ঠ বলল"আমি তোমাকে ভালবাসি"আরিহাও বলল আমিও তোমাকে ভালবাসি । কথাটা শুনেই আজাদ জ্ঞান হারালো ।
এদিকে আজাদের অবস্থা ভেজা বিড়ালের মত । আজাদ যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না । আরিহা বলল তোমার বন্ধু দেখি আসলেই একটা হাবলু। কথা শুনে আজাদের গাল লজ্জায় লাল হয়ে উঠল । আরিহা বলল এত জলদির কী আছে মিঃ কাব্য সময় হলেই পরীক্ষার ফল বের হবে । কথাগুলো বলেই আরিহা চলে গেল । কাব্য বলল চল আজকে আর ক্লাস করব না । আজাদ যেতে চাইছিলনা তারপরেও দুইজনে মিলে কলেজ ফাকি দিল । দুইজনেই সরাসরি বাসায় চলে আসে । আজাদ বাসায় এসে দেখে মা দোকানে গেছে । ২০ মিনিট পর কাব্য চলে এলো আজাদের বাসায়, এসে দেখে আজাদ কি যেন ভাবছে । কাব্য বুঝতে পারে আজাদ কি নিয়ে ভাবছে । হঠাৎ কাব্যের চোখ পড়ে একটি ছবির উপর ছবিটিতে সে দেখতে পায় একটা ছোট ছেলে একটি গরুর গলা ধরে দাড়িয়ে আছে । ছেলেটা যে আজাদ তা বুঝতে কাব্যের সময় লাগল না । কিন্তু গরুর চোখ দুটি দেখে কাব্যের মনে হল গরুর এতো সুন্দর চোখ হয় ! কাব্যের মনে পরে গেল এইচোখ জোড়া আর আরিহার চোখ একই রকম । কেমন একটা মায়া কাজ করে এই চোখে । আজাদ এখনো ভাবছে আরিহার কথা । কাব্যও কি যেন ভাবছে । হঠাৎ দরজায় টোকার শব্দে দুইজনেই বাস্তব জগতে ফিরে এলো । কাব্য গিয়ে দরজাটা খুলল ।
৭
দরজা খুলতেই কাব্যের চোখ কপালে উঠল । সে দেখতে পেলো আরিহা দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে পিছেনই দাড়িয়ে আছে সোহাগ । কাব্য বুঝতে পারল সোহাগই আরিহাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছে আজাদের বাসায় ।একটু পরেই আজাদ আসল দরজার কাছে । আজাদ আরিহাকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠে । আজাদের মনে হয় এই বুঝি সে জ্ঞান হারাবে । আজাদের এই অবস্থা দেখে আরিহা হেসে হেসে বলল পরীক্ষার ফল না নিয়েই চলে এলে যে । কাব্য বলল তা ফলাফল জানাতেই কি এসেছ ? নাকি ফলাফল অনলাইনে জানানো হবে । সোহাগ বলল আর অনলাইনে জাওয়ার দরকার নেই । ফলাফল আজাদের পক্ষেই । কাব্য লক্ষ্য করল আরিহার গাল আর কান লজ্জায় লাল হয়ে গেছে । আজাদের বাগানে বিভন্ন ধরনের ফুল দেখে সোহাগ বলে তা হলে শুভ কাজটা হয়ে যাক । আজাদের মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে । কাব্য বাগান থেকে একটি লাল গোলাপ ফুল এনে আজাদের হাতে দেয় । ফুল ধরার সাথে সাথে আজাদের হাত পা কাঁপতে থাকে । ফুল হাতে দুই হাঁটু গেরে বসে পরে আজাদ । আরিহা একটু একটু লজ্জা পাচ্ছে । কাব্য বলল আরিহা তাড়াতাড়ি ফুলটা নেও তা নাহলে আজাদ বেচারা একটু পর হার্টঅ্যাটাক করবে । আজাদ কাপা কাপা কন্ঠ বলল"আমি তোমাকে ভালবাসি"আরিহাও বলল আমিও তোমাকে ভালবাসি । কথাটা শুনেই আজাদ জ্ঞান হারালো ।
Comments
Post a Comment